এ যে আদিগন্ত বিস্তৃত একটা বালিয়াড়ি। মাঝে মাঝে জড়াজড়ি করে দাঁড়িয়ে আছে কয়েকটা খেজুর গাছ। বালিয়াড়ির মাঝখানে একটা উঁচু ঢিপি আর তার ওপর সেই স্বপ্নে দেখা অদ্ভুত স্ট্রাকচারের মন্দিরটা। চারদিক শুনশান। কেউ কোথাও নেই। শুধু শনশন করে হাওয়া দিচ্ছে। এমন সময় আবার মন্দিরের ভেতর থেকে বেরিয়ে এল সেই বিশাল চেহারার সিংহটা। বাদামি কেশর কাঁধ ছাপিয়ে পিঠ ছুঁয়েছে। প্রকাণ্ড বলিষ্ঠ থাবা। এ দিক ও দিক তাকিয়ে অলস ভাবে একটা গর্জন করল সে আর তখনই কে যেন মৃদু শিস দিল মন্দিরের ভেতর থেকে। সেই শিস শুনে পোষা কুকুরের মতো সিংহটা পেছন ফিরে এগিয়ে গেল মন্দিরের দরজার কাছে। ভেতরটা অন্ধকার। স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। তবু বোঝা গেল... See more
এ যে আদিগন্ত বিস্তৃত একটা বালিয়াড়ি। মাঝে মাঝে জড়াজড়ি করে দাঁড়িয়ে আছে কয়েকটা খেজুর গাছ। বালিয়াড়ির মাঝখানে একটা উঁচু ঢিপি আর তার ওপর সেই স্বপ্নে দেখা অদ্ভুত স্ট্রাকচারের মন্দিরটা। চারদিক শুনশান। কেউ কোথাও নেই। শুধু শনশন করে হাওয়া দিচ্ছে। এমন সময় আবার মন্দিরের ভেতর থেকে বেরিয়ে এল সেই বিশাল চেহারার সিংহটা। বাদামি কেশর কাঁধ ছাপিয়ে পিঠ ছুঁয়েছে। প্রকাণ্ড বলিষ্ঠ থাবা। এ দিক ও দিক তাকিয়ে অলস ভাবে একটা গর্জন করল সে আর তখনই কে যেন মৃদু শিস দিল মন্দিরের ভেতর থেকে। সেই শিস শুনে পোষা কুকুরের মতো সিংহটা পেছন ফিরে এগিয়ে গেল মন্দিরের দরজার কাছে। ভেতরটা অন্ধকার। স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। তবু বোঝা গেল, একটা মানুষের অবয়ব এসে দাঁড়িয়েছে সেখানে। সিংহটা সেই ছায়ামূর্তিকে দেখে যেন ভারী আনন্দিত হল। মাথা ঘষতে শুরু করল তার পায়ে। অন্ধকার ফুঁড়ে বেরিয়ে এল এক রমণীর সুডৌল হাত। বহুমূল্য রত্নরাজিতে খচিত অলঙ্কারে ভূষিত সেই হাত পরম স্নেহে স্পর্শ করল সিংহের কেশরদাম। যেন বিলি কেটে দিল তাতে। তার পর সিংহের গলায় পরিয়ে দিল রত্নখচিত এক কণ্ঠবন্ধনী।