দেশ টুকরো করে স্বাধীনতা এলো। সাল ১৯৪৭। এই উপমহাদেশে স্বাধীনতা ও দেশভাগ যমজ। প্রথমটি যত আনন্দের, দ্বিতীয়টি তুলনার অনেকগুণ বেশি বিষাদের, বিশেষত গরিষ্ঠ বাঙালির জীবনযাপনে। করল বাঙালির জাতিসত্তা, যার বিষ স্বদেশভাবুকের মননন্ত সাক্ষাৎকারে। আজ বিপর্যস্ত। কেন এমন হল? উত্তর খুঁজেছে সাক্ষাৎকার। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি কেন বিপন্ন, কেন পরিসর সংকুচিত হচ্ছে বাংলাভাষার এই সংকট কি উদ্ধারহীন। অন্নদাশঙ্কর রায় বলেছেন, 'আমাদের দেশপ্রেম খাঁটি ছিল বলে দেশ স্বাধীন। হল। কিন্তু আমাদের জাতিপ্রেমে খাদ ছিল তাই দেশ খণ্ডিত হল। এই খাদের নাম দ্বিজাতিতত্ত্ব। ধর্মকে জাতি বলে চিহ্নিত করার সর্বনাশা বৃদ্ধি বিপর্যস্ত আজও ক্রিয়া ... See more
দেশ টুকরো করে স্বাধীনতা এলো। সাল ১৯৪৭। এই উপমহাদেশে স্বাধীনতা ও দেশভাগ যমজ। প্রথমটি যত আনন্দের, দ্বিতীয়টি তুলনার অনেকগুণ বেশি বিষাদের, বিশেষত গরিষ্ঠ বাঙালির জীবনযাপনে। করল বাঙালির জাতিসত্তা, যার বিষ স্বদেশভাবুকের মননন্ত সাক্ষাৎকারে। আজ বিপর্যস্ত। কেন এমন হল? উত্তর খুঁজেছে সাক্ষাৎকার। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি কেন বিপন্ন, কেন পরিসর সংকুচিত হচ্ছে বাংলাভাষার এই সংকট কি উদ্ধারহীন। অন্নদাশঙ্কর রায় বলেছেন, 'আমাদের দেশপ্রেম খাঁটি ছিল বলে দেশ স্বাধীন। হল। কিন্তু আমাদের জাতিপ্রেমে খাদ ছিল তাই দেশ খণ্ডিত হল। এই খাদের নাম দ্বিজাতিতত্ত্ব। ধর্মকে জাতি বলে চিহ্নিত করার সর্বনাশা বৃদ্ধি বিপর্যস্ত আজও ক্রিয়া করে চলেছে। এই সংকলনে দেশভাগের কারণ ও পরিণামের খোঁজ করা হয়েছে বাংলার এপারে ওপারে, ভাবুকদের দেখা ও বোঝার মধ্য দিয়ে। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে বাঙালির। জাতি পরিচয় সন্ধান করা হয়েছে। হাজার বছর ধরে নানা অনুকূল ও প্রতিকূল পরিবেশে গড়ে উঠেছে বাঙালির জাতীয় জীবন ও সংস্কৃতি এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের হিরার ঐতিহ্য। এই জাতি পরিচায়ের মৌলিক, ভিত্তি হল ভাষা। আচারধর্মের ভিন্নতা সত্ত্বেও ভাষার সুত্রে বাঙালি অনআত্মীয়সমাজ। বাহান্নর ভাষা আন্দোলন। নির্বিশেষ বাঙালির গর্ব। একাত্তালো মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি তার স্বদেশ খুঁজেছে ভাষাপ্রোম। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আছে। আছে যথার্থ ভাষা সংস্কৃতি ভাবুকদের উত্তর। এই সংকলন দেশভাগ থেকে শুরু করে বাঙালি জাতিসত্তা, ভাষা ও সংস্কৃতির বহুমাত্রিক চলমান সিম্পোসিয়াম। বাংলার ইতিহাসে নবজাগরণের প্রেক্ষিতে বাঙালির আত্মপরিচয়ের মান্য দলিল।