ভারতে শেষ বাদশাহ এমন এক মানুষের কাহিনি যাঁর স্মৃতি আজও পরস্পরবিরোধী মতামতকে উসকে দেয়। ব্রিটিশরা যেমন মনে করতেন, তিনি কি তেমনই এক লম্পট শাসক ছিলেন? রাজ্য শাসনের বদলে গাইয়ে-বাজিয়ে, খোজা আর বৃহন্নলাদের নিয়ে সময় কাটাতেন? নাকি তিনি অনেক ভারতবাসীর কাছে স্মরণীয় সেই প্রতিভাশালী কবি যাঁর লেখা গান আজও জনপ্রিয়? যাঁর সিংহাসন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ইংরেজরা অন্যায়ভাবে কেড়ে নিয়েছিল? এই দুই প্রান্তবিন্দুর মাঝামাঝি কোথাও পাওয়া যাবে সেই মেধাবী অথচ জটিল ব্যক্তিত্বকে - যাঁর বেগমদের সংখ্যা ছিল ৩৫০-এর বেশি, যিনি এমন এক-একটি নাট্যানুষ্ঠান পরিচালনা করতেন যা মাসাধিক কাল ধরে অভিনীত হত। যিনি লখনউতে রূপকথার প্রাসাদ নির্মাণ �... See more
ভারতে শেষ বাদশাহ এমন এক মানুষের কাহিনি যাঁর স্মৃতি আজও পরস্পরবিরোধী মতামতকে উসকে দেয়। ব্রিটিশরা যেমন মনে করতেন, তিনি কি তেমনই এক লম্পট শাসক ছিলেন? রাজ্য শাসনের বদলে গাইয়ে-বাজিয়ে, খোজা আর বৃহন্নলাদের নিয়ে সময় কাটাতেন? নাকি তিনি অনেক ভারতবাসীর কাছে স্মরণীয় সেই প্রতিভাশালী কবি যাঁর লেখা গান আজও জনপ্রিয়? যাঁর সিংহাসন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ইংরেজরা অন্যায়ভাবে কেড়ে নিয়েছিল? এই দুই প্রান্তবিন্দুর মাঝামাঝি কোথাও পাওয়া যাবে সেই মেধাবী অথচ জটিল ব্যক্তিত্বকে - যাঁর বেগমদের সংখ্যা ছিল ৩৫০-এর বেশি, যিনি এমন এক-একটি নাট্যানুষ্ঠান পরিচালনা করতেন যা মাসাধিক কাল ধরে অভিনীত হত। যিনি লখনউতে রূপকথার প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন। তাঁর অবধ রাজ্য ১৮৫৬-তে কোম্পানি অধিগ্রহণ করে নিলে ইতিহাসের বই থেকে ওয়াজিদ আলি শাহ ব্রাত্য হয়ে যান। তিনি পরের বছরই মহাবিদ্রোহের সময় মারা যান এমন ভ্রান্ত ধারণাও কেউ কেউ পোষণ করতেন। কিন্তু আসলে বাদশাহ কলকাতায় তাঁর লখনউতে ফেলে আসা হারানো স্বর্গকে আরও একবার গড়ে তুলতে চেষ্টা করেছিলেন। সেখানেই তিনি জীবনের শেষ তিরিশটি বছর কাটান। বাদশাহ ছিলেন ব্রিটিশ সরকারের পথের কাঁটা। তাঁর ছিল আমিরসুলভ বেহিসেবি জীবনযাত্রা, অসংখ্য বেগম, চিড়িয়াখানা। ভারত এবং ব্রিটেনের আর্কাইভে সংরক্ষিত মূল নথিপত্র আর বাদশাহের উত্তরসূরিদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এই প্রথম কথিত হল সেই বাদশাহী কাহিনি।