ভারতের রাজ্যেগুলির শিল্পবৈচিত্র্যের স্বীকৃতি বিশ্বজোড়া। হয়তো আমরা এখনও শিল্পীদের, বিশেষ করে লোকশিল্পীদের চিহ্নিত করতে পারিনি। আদি অনাদিকাল ধরে, আমাদের প্রতিবেশী রাজ্য, পুরীর জগন্নাথ ক্ষেত্রে একটি চমৎকার প্রথার অনুশীলন হয়ে চলেছে। প্রথা অনুযায়ী, স্নান যাত্রার পর থেকে রথযাত্রার এই সময়কাল পর্যন্ত গর্ভগৃহে ভগবান জগন্নাথ মহাপ্রভুর কাঠের মূর্তি পূজিত হয় না। এইসময় জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার পট পুজো করা হয়। সুতরাং, পুরী মন্দিরের বিভিন্ন রীতিনীতি এবং আচার-অনুষ্ঠানের সঙ্গে পটচিত্রের দীর্ঘ এবং গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এই বইটিতে আমি সেই চিরন্তন অনুশীলনগুলিকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। জগন্নাথ সংস্কৃতির ... See more
ভারতের রাজ্যেগুলির শিল্পবৈচিত্র্যের স্বীকৃতি বিশ্বজোড়া। হয়তো আমরা এখনও শিল্পীদের, বিশেষ করে লোকশিল্পীদের চিহ্নিত করতে পারিনি। আদি অনাদিকাল ধরে, আমাদের প্রতিবেশী রাজ্য, পুরীর জগন্নাথ ক্ষেত্রে একটি চমৎকার প্রথার অনুশীলন হয়ে চলেছে। প্রথা অনুযায়ী, স্নান যাত্রার পর থেকে রথযাত্রার এই সময়কাল পর্যন্ত গর্ভগৃহে ভগবান জগন্নাথ মহাপ্রভুর কাঠের মূর্তি পূজিত হয় না। এইসময় জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার পট পুজো করা হয়। সুতরাং, পুরী মন্দিরের বিভিন্ন রীতিনীতি এবং আচার-অনুষ্ঠানের সঙ্গে পটচিত্রের দীর্ঘ এবং গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এই বইটিতে আমি সেই চিরন্তন অনুশীলনগুলিকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। জগন্নাথ সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এই ওড়িয়া শিল্প এই বইতে গভীরভাবে আলোচিত হয়েছে। শিল্পের আদি থেকে বর্তমান সময়ের অনুরণনের কথা বলা হয়েছে এই বইতে। শিল্পীরা তাদের সৃষ্টিতে পরিপূর্ণতা খুঁজে পান। রঘুরাজপুর গ্রামটি এমনই একটি শিল্পের পীঠস্থান, যেখানে প্রতিনিয়ত পটচিত্রের মাধ্যমে ভগবান জগন্নাথ এবং অসংখ্য শিল্পীর জীবনগাথা রচিত হয়ে চলেছে। এই বইটি সেই অনুশীলনেরই সাক্ষ্য।