নয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রকাশ পেতে শুরু করে শ্রীজাত’র লেখা। লিখছেন তারও বেশ কিছু বছর আগে থেকে। সেই সময়রেখার হিসেবে তাঁর লেখালেখির তিন দশক পূর্ণ হচ্ছে এখন। এই দীর্ঘ সময়ে তাঁর কবিতা বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এসেছে, সাক্ষী থেকেছে অনেক বাঁক-বদলের, যা শ্রীজাত’র কাব্য-ভাবনাকে বারেবারে নতুন করে চিনিয়েছে। সেই কবিতা-সফরের ধারাবাহিকতা ও সামগ্রিকতাকে একত্রিত রাখবার প্রয়াসেই তাঁর কবিতাসমগ্রের তৃতীয় খণ্ডের আয়োজন। এবারের পর্বে থাকছে সংযোজন সমেত তঁার সাতটি কাব্যগ্রন্থ, যারা ভাষায়, ভাবনায় একে অপরের চেয়ে বিস্ময়কর ভাবে আলাদা। ‘ছাই রঙের গ্রাম’ নামক গ্রন্থে বেশ কিছু গদ্যও সংকলিত হয়েছিল, এই আয়োজন থেকে সেই গদ্যাং�... See more
নয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রকাশ পেতে শুরু করে শ্রীজাত’র লেখা। লিখছেন তারও বেশ কিছু বছর আগে থেকে। সেই সময়রেখার হিসেবে তাঁর লেখালেখির তিন দশক পূর্ণ হচ্ছে এখন। এই দীর্ঘ সময়ে তাঁর কবিতা বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এসেছে, সাক্ষী থেকেছে অনেক বাঁক-বদলের, যা শ্রীজাত’র কাব্য-ভাবনাকে বারেবারে নতুন করে চিনিয়েছে। সেই কবিতা-সফরের ধারাবাহিকতা ও সামগ্রিকতাকে একত্রিত রাখবার প্রয়াসেই তাঁর কবিতাসমগ্রের তৃতীয় খণ্ডের আয়োজন। এবারের পর্বে থাকছে সংযোজন সমেত তঁার সাতটি কাব্যগ্রন্থ, যারা ভাষায়, ভাবনায় একে অপরের চেয়ে বিস্ময়কর ভাবে আলাদা। ‘ছাই রঙের গ্রাম’ নামক গ্রন্থে বেশ কিছু গদ্যও সংকলিত হয়েছিল, এই আয়োজন থেকে সেই গদ্যাংশকে সরিয়ে রাখা হল। এ-কথা ঠিক যে, ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত ‘শেষ চিঠি’ নামক পুস্তিকাটিই শ্রীজাত’র প্রথম একক কবিতা-সংকলন, যে-কারণে কবিতাসমগ্রের প্রথম খণ্ড শুরু হয়েছিল সেই বই দিয়ে। কিন্তু তারও আগে, ১৯৯৭ সালে ‘গুহালিপি’ নামক সংকলনে শ্রীজাত’র একটি সম্পূর্ণ কাব্যগ্রন্থ অন্তর্ভুক্ত ছিল, যার নাম ‘আমরাই স্তব্ধ প্রতিনিধি’। সেই অর্থে এটিই তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ, তাঁর কবিতার সামগ্রিক আত্মপ্রকাশ। কবিতাসমগ্রের এই তৃতীয় খণ্ডের সংযোজন হিসেবে সেই গ্রন্থটিই সম্পূর্ণরূপে রাখা হল। এই সাতটি কাব্যগ্রন্থের সমাহার শ্রীজাত’র নিরবচ্ছিন্ন কবিতাচর্চার আরও এক দলিল হয়ে থাকল, যার মধ্য দিয়ে বাংলা কবিতার পাঠককুল এক স্বতন্ত্র ও সামূহিক স্বর আবিষ্কার করতে পারবে।